পিপলস নিউজ রিপোর্ট: শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার অভাবে দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে নতুন করে আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিপ্তরের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র মেডিভয়েসকে নিশ্চিত করেছে।
নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ এবং মুন্সিগঞ্জের ভূইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের তথ্যমতে, ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ নামে নতুন এই স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হবে এই মেডিকেলের কার্যক্রম।
একই বৈঠকে সরকারি ৩৭ মেডিকেল কলেজের আসন পুনর্বিন্যাস করেছে মন্ত্রণালয়। সোমবার (১০ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখার এ সংক্রান্ত এক নোটিসে বলা হয়, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৩০/১০/২০২৫ খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করা হলো।’
পুনর্বিন্যস্ত তালিকা অনুযায়ী, চৌদ্দ মেডিকেল কলেজের ৩৫৫ আসন কমানো হয়েছে। একই সঙ্গে তিন মেডিকেল কলেজে ৭৫টি আসন বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে সরকারি মেডিকেলগুলোর ২৮০টি আসন কমানো হলো।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে তথ্য মতে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, সলিমুল্লাহ, রংপুর, নেত্রকোণা, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে ২৫ করে মোট ৩০০ আসন কমানো হয়েছে। এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ৫টি এবং হবিগঞ্জ মেডিকেলে কমানো হয়েছে ৫০টি আসন।
অন্যদিকে গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও পটুয়াখালী মেডিকেলে ২৫ করে ৭৫টি আসন বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া বাকি মেডিকেলগুলোর আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত আছে।






