শারজাহের মরুর বুকে রঙিন উৎসব বাংলাদেশ দলের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা তৃতীয়বার জয় পেয়ে টাইগাররা শুধু সিরিজই জিতল না, মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে গেল প্রতিপক্ষের চেয়ে। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ২ উইকেটে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধি দল।
এবারই প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে জয় পেল বাংলাদেশ। এর আগে কখনোই আফগানরা টানা তিন ম্যাচ হারেনি, বরং টানা চার ম্যাচ জিতে রেখেছিল এগিয়ে থাকার রেকর্ড। সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, দুই দলের ১৫টি মুখোমুখি ম্যাচে বাংলাদেশ এখন জয়ী ৮টিতে, আফগানিস্তান ৭টিতে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) শারজায় আফগানিস্তান ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১৪৭ রানে থামে। টপ অর্ডারে গুরবাজ, ইবরাহিম জাদরান ও গুলবাদিন নাইব সবাই ভালো শুরু পেলেও বড় ইনিংসে রূপ দিতে পারেননি। রান সংগ্রহ বড় না হওয়ার কারণ হিসেবে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান দায় দিলেন ব্যাটসম্যানদের ভারসাম্যহীন শট খেলার, তবে ফিল্ডিংয়ের উন্নতিতে খুঁজেছেন সান্ত্বনা।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। চার ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এরপর চাপের সময়ে ব্যাট হাতেও হয়ে ওঠেন নায়ক। শেষদিকে প্রয়োজনীয় ১৯ রান থেকে ১৩ বলে অপরাজিত ১১ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শরীফুল। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যেই ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন তিনি।
আফগানিস্তানের ফিল্ডিং দুর্বলতা আবারও সামনে এসেছে। একের পর এক ক্যাচ ফেলে তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। শুরুর ম্যাচে যেমন পারভেজ হোসেনকে দু’বার জীবন দিয়েছিল, তেমনি দ্বিতীয় ম্যাচেও সুযোগ নষ্ট করে। পারভেজ আবারও বাংলাদেশের ইনিংসের ভিত গড়ে দেন ফিফটি হাঁকিয়ে।
সিরিজের শেষ ম্যাচ এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা। তবে রশিদ খানের দল মর্যাদা রক্ষায় লড়বে শেষ ম্যাচে। অন্যদিকে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ চাইবে ‘হোয়াইটওয়াশ’-এর মাধ্যমে শারজাহর মাটিতেই লিখতে নতুন ইতিহাস।