বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক।
গতকাল (৬অক্টোবর) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আগামী চার বছরের জন্য ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। এছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত পরিচালক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের ভোটে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
তবে এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ আখ্যা দিয়ে আমিনুল হক অভিযোগ করেন, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেছেন এবং অনেক কাউন্সিলরকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার পল্টনের হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে জিয়া আন্তঃভলিবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আমিনুল বলেন,
“বিসিবি নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ সরকারি হস্তক্ষেপ ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ। অনেক কাউন্সিলর আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন, তাঁদের ডেকে নিয়ে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হয়েছে।”
এর আগে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ ১৬ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তাঁরাও অভিযোগ করেন, নির্বাচনটি আগেই ‘ফিক্সড’ ছিল।
জেলা ও বিভাগীয় কাউন্সিলরদের মনোনয়ন প্রসঙ্গে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দেওয়া চিঠি নিয়ে আইনি জটিলতার কথাও উল্লেখ করেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক। তিনি বলেন,
“যদি হাইকোর্ট পরবর্তীতে চিঠিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে, তবে নির্বাচিত সদস্যদের থাকা সত্ত্বেও পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যেতে পারে।”
বিসিবি নির্বাচনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও তোলেন তিনি। তাঁর ভাষায়,
“আমার কাছে তথ্য আছে—এই নির্বাচনে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এটি অত্যন্ত পীড়াদায়ক যে বোর্ড পরিচালকরা অর্থের বিনিময়ে নির্বাচিত হতে পারেন। এতে দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন থেকে যায়।”