পিপলস নিউজ রিপোর্ট: নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও অসদাচরণের শাস্তি কঠোর করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আইন সংশোধনের খসড়া অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সংশোধিত আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম আরও গতিশীল ও জবাবদিহিমূলক হবে।
তিনি বলেন, “নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি বা অসদাচরণ রোধে আইনটি যুগোপযোগী করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
সংশোধিত আইনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো:
গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অস্বীকৃতি:
আগের আইনে গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বে অস্বীকৃতি জানালে সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।
সংশোধিত আইনে জরিমানা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ লাখ টাকা।
অসদাচরণ:
নির্বাচনী দায়িত্বে অসদাচরণ করলে আগে সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড বা ২ হাজার টাকা জরিমানা ছিল।
নতুন আইনে শাস্তি বাড়িয়ে করা হয়েছে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।
অসদাচরণের সংজ্ঞা প্রসারিত:
সংশোধিত আইনে অসদাচরণের সংজ্ঞায় যুক্ত করা হয়েছে—
নির্বাচন কমিশন বা রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশ অমান্য, আইন ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন এবং দায়িত্বে অবহেলা।
সভায় আরও আলোচনা হয় প্রথম পর্যায়ে গৃহীত ১২১টি নির্বাচন সংস্কার প্রস্তাবের অগ্রগতি নিয়ে। জানানো হয়, এর মধ্যে ২৪টি বাস্তবায়িত, ১৪টি আংশিক বাস্তবায়িত এবং বাকি প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।
সভায় জানানো হয়, আগামী মাসের মধ্যে সব সংস্কার সংক্রান্ত অগ্রগতির বিস্তারিত তথ্য বুকলেট আকারে প্রকাশ করা হবে।