পিপলস নিউজ রিপোর্ট: ‘গাজাকে বাঁচান—নইলে আমাদের সবার ধ্বংস অনিবার্য। গাজাকে বাঁচান, যাতে গাজার মাধ্যমে আমরা সবাই বাঁচতে পারি,—জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনে এমনই হৃদয়বিদারক আবেদন জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি মাজেদ বামিয়া।
বুধবার (১৬ জুলাই) গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ওই বৈঠকে তিনি বলেন, গাজাবাসীর প্রতিটি দিন এখন একেকটি ট্র্যাজেডি। প্রতিটি ফিলিস্তিনি সকাল-সন্ধ্যা বাঁচা-মরার অনিশ্চয়তায় জীবন যাপন করছে।
‘বিশ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের অর্ধেকই শিশু, তারা প্রতিদিন এমন এক বাস্তবতায় ঘুম থেকে জাগে, যেখানে নিশ্চিত নয় তারা ওই দিনটুকু বেঁচে থাকতে পারবে কি না,’—বলতে গিয়ে বামিয়া জানান, ‘রাতে তারা ঘুমাতে যায় এই ভয় নিয়ে—তারা আদৌ সকালে জেগে উঠবে কি না।’
তিনি বলেন, গাজায় এখন সব পথই মৃত্যুর দিকে যায়। ফিলিস্তিনিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইসরায়েল তাদের হয় মৃত্যু, না হয় গৃহত্যাগ—এই দুটি পথের একটিকে বেছে নিতে বাধ্য করছে। তিনি অভিযোগ করেন, শুরু থেকেই গাজা খালি করাই ছিল ইসরায়েলের মূল পরিকল্পনা।
মানবিক সহায়তার পথ বন্ধ হওয়া এবং আন্তর্জাতিক আইনের অপব্যবহার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মাজেদ বামিয়া বলেন, ‘এটা কেমন পৃথিবী যেখানে অপরাধীরাই বিচারক হয়, আর যারা আন্তর্জাতিক আইন মানে, তাদেরই দোষী সাব্যস্ত করা হয়?’
ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন গড়ে ৯০ থেকে ১৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এসব হত্যাকাণ্ডকে তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেন।
শেষে পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গাজাকে রক্ষা করতে না পারলে কেবল গাজাই ধ্বংস হবে না—ধ্বংস হবে মানবতা, ভেঙে পড়বে ন্যায়বিচারের ভিত্তি।’