পিপলস নিউজ রিপোর্ট: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর আইনি ভিত্তি থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তাঁর মতে, আইনি ভিত্তি না থাকলে ভবিষ্যতে কেউ এসব বিষয়কে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে।
রোববার (১৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের বৈঠকের ১২তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “যেসব বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি, সেগুলোকে আইনগত ভিত্তি দিতে হবে। যাতে কেউ তা এড়িয়ে যেতে না পারে। যদিও এখনো এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি, তবে আলোচনা হলে মতপার্থক্য থাকবে, যুক্তিও থাকবে। তারপরেও আমি মনে করি, একটা জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারব।”
এদিনের আলোচনার মূল বিষয় ছিল:—প্রধান বিচারপতি নিয়োগজরুরি অবস্থা জারিতত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনপ্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে জামায়াতের অবস্থান পরিষ্কার করে তাহের বলেন, “আমরা প্রস্তাব করেছি, জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিই হবেন প্রধান বিচারপতি। অতীতে দেখা গেছে, রাজনৈতিকভাবে শপথ নেওয়া ব্যক্তিরাও বিচারপতি হয়েছেন—এই প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। কেউ যদি ভিন্ন প্রস্তাব দেয়, তাহলে সেটা নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে হবে। পরে আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।”
জরুরি অবস্থার অপব্যবহার ঠেকাতে জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে—জরুরি অবস্থা জারি করতে হলে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিতে হবে। এ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে বলে জানান তাহের।তিনি আরও বলেন, “মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিরোধীদলীয় নেতা থাকবেন, যদি তিনি না থাকেন তাহলে উপনেতা উপস্থিত থাকবেন—এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।”নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে জরুরি অবস্থার সময় ‘রাইট টু লাইফ’, অর্থাৎ মৌলিক অধিকার যেন খর্ব না হয়, সে বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে বলে জানান জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা।
